
নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর প্রার্থী নরুল হক জোমাদ্দারের প্রধান পরিচালক আফসার সিকদারকে হত্যার অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সাকিও কাওসার নিপ্পন তালুকদারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতাকাল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিহতের ছেলে রাসেল সিকদার রিমন মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক শারমিন সুলতানা সুমি মামলাটি আমলে নিয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে এজাহার (এফআইআর) হিসাবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন। অভিযুক্ত নিপ্পন উপজেলার চুনারচর এলাকার বাবুল হোসেন তালুকদারের ছেলে।
এছাড়া অন্যান্যরা হলো একই এলাকার মাহাবুব আলম দুলালের ছেলে রাকিব পোদ্দার, বদরপুর এলাকার ছিডু হাওলাদারের ছেলে বাবুল হাওলাদার, মৃত সামসুল হক বেপারীর ছেলে খোরশেদ আলম ভুলু ও তার ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান শাকিল, সামসুল হক তফাদারের ছেলে আলমগীর তফাদার, সফিজুল হক বেপারীর ছেলে নাইমুর রহমান শিহাব, মৃত খলিলুর রহমান সাওদাগরের ছেলে মনির হোসেন সাওদাগর, আঃ মালেক বেপারীর ছেলে হুমায়ুন বেপারী, সফিজল হক বেপারীর ছেলে মহিউদ্দিন আহম্মেদ রবিউল ও মৃত জালাল আহম্মদ হাওলাদরের ছেলে আলমগীর হাওলাদার। মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন জানান, আসন্ন মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভা নিবার্চনে কাউন্সিলর পদ প্রার্থী নুরুল হক জোমাদ্দার পাঞ্জাবী প্রতীক এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সাকিও কাওসার নিপ্পন তালুকদার উটপাখি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
নুরুল হক জোমাদ্দারের প্রধান পরিচালক আফসার সিকদার নির্বাচনে ভূমিকা থাকায় তার পক্ষে বিপুল জনগনের সর্মথন বৃদ্ধি পায়। সর্মথন বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সাকিও কাওসার নিপ্পন তালুকদারের প্রধান পরিচালক খোরশেদ আলম ভুলু নির্বাচন থেকে সরে দাড়াতে আফসার সিকদারেকে হত্যার হুমকী দেয়। ঘটনার দিন ১৭ জানুয়ারি খোরশেদ আলম ভুলুর বাসায় সকলে গোপন বৈঠক করে। ওই দিন আফসার সিকদার মোটর সাইকেল নিয়ে নুরুল হক জোমাদ্দারের বাড়িতে যাওয়ার পথে আরসি কলেজ এলাকায় পৌছিলে সাকিও কাওসার নিপ্পন তালুকদার তার সহযোগীদের নিয়ে হামলা চালায়। এসময় সাকিও কাওসার নিপ্পন তালুকদার তার হাতে থাকা লোহার হাতুড়ী দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে আফসার সিকদারকে আঘাত করে। সে মাটিতে পড়ে গেলে অন্যান্যরা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসহ তাকে এলোপাথারী মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে গুরুত্বর আবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে পর দিন ১৮ জানুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আফসার সিকদার মারা যান। এঘটনায় গতকাল মামলাটি দায়ের করলে বিচারক ওই আদেশ দেন।