
ঢাকা : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেডের (পিএলএফএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদ থেকে আব্দুল হামিদ মিয়াকে অব্যাহতি না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (০১ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়ে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটিতে নিযুক্ত প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া তার পদত্যাগসংক্রান্ত কোনো বিষয় পর্ষদ সভায় না তুলতে বলা হয়েছে।
আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে না পারায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ১ ডিসেম্বর প্রিমিয়ার লিজিংয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এটিই ছিল প্রথম প্রশাসক নিয়োগের ঘটনা। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে পিপলস লিজিং অবসায়নের প্রক্রিয়া শুরুর পর পুরো খাতের খারাপ অবস্থা সামনে আসে।
জানা গেছে, আব্দুল হামিদ গতবছরের নভেম্বর থেকে পদত্যাগ করতে চাইছেন। তিনি ২০১৬ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানে এমডির দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ন্যাশনাল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি। তার সময়ে প্রিমিয়ার লিজিংয়ের আর্থিক সূচকে অবনতি হয়েছে।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদের পরিমাণ কমে এক হাজার ৬৯৮ কোটি টাকায় নেমেছে। ২০১৭ সালে যা এক হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা ছিল। প্রতিষ্ঠানটির আমানত তিন বছর আগের ৯৬৭ কোটি টাকা থেকে কমে ৮১৪ কোটি টাকায় নেমেছে। এই আমানতের ৯০ শতাংশই প্রাতিষ্ঠানিক। যার বেশিরভাগই ফেরত দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। আর ঋণের পরিমাণ চার বছর আগের এক হাজার ৪১৬ কোটি টাকা থেকে কমে এক হাজার ২৫১ কোটি টাকায় নেমেছে।
এ ব্যাপারে আব্দুল হামিদ মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, এখানে আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। বরং প্রতিষ্ঠানটিকে আমি আগের তুলনায় কমপ্লায়েন্স করেছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নিষেধ করলে আমার পদত্যাগ গ্রহণ হবে না এটাই বাস্তবতা। তবে মনের বিরুদ্ধে তো চাকরি করা যায় না।