
জাহিন সিংহ, সাভার থেকে : করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ রোধে গতকাল ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে একেবারেই জনশূন্য ছিল জাতীয় স্মৃতিসৌধ। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই সৌধের শহীদ বেদিতে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্টপতি ও প্রধানমন্ত্রী। তিন বাহিনীর সুসজ্জিত চৌকস দল এসময় গার্ড অব অনারও প্রদান করে থাকে।
এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রীপরিষদের সদস্য, বিদেশী কূটনীতিকবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেয়া হতো সর্বসাধারণের জন্য।
তবে এবারের স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ছিলনা কোন আয়োজন। করোনা ভাইরাস রোধে স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা ছাড়াও স্বাধীনতা দিবসের সকল অনুষ্ঠান পূর্বেই স্থগিত করে সরকার। প্রতিবছর এই দিনে জাতীর বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে যেখানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষের ঢল নামে সেই সৌধ প্রঙ্গণই ছিল একেবারেই জনশূন্য।
দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন বন্ধ ছিল। এরআগে দিবসটি পালনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্মৃতিসৌধে ধোওয়া মোছা ও রংতুলিসহ সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হলেও স্থগিত করা হয় সকল কর্মসূচী। তাই শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি কোন রাজনৈতিক বা সামাজিক সংগঠন।
দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবার কুয়াশা ভেজা সকালে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির পর একে একে বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেও এবারের স্বাধীনতা দিবসে সম্পূর্ণ ফাকা ছিল পুরো স্মৃতিসৌধ। জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মরত গণপূর্ত বিভাগের কয়েজজন কর্মকর্তা কর্মচারী ও গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া দিনব্যাপী কারোই দেখা মেলেনি সেখানে।
এদিকে মহান স্বাধনীতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান। পরে করোনা ভাইরাস রোধে সাভারের থানা বাসষ্ট্যান্ড এলাকার পরিস্কার পরি”ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্ধোধন করা হয়।